চীনের সাথে যৌথ উদ্যোগে চাঁদে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। ২০৩৩ থেকে ২০৩৫ সালের মাধ্যে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস। চাঁদে মানুষের বসবাসের ধারণাকে কেন্দ্র করে চাঁদে যৌথ অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া ও চীন।
রসকসমসের প্রধান ইউরি বরিসভ জানান, তারা চাঁদের বুকে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাতে চাইছেন। সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করাই তাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে চাঁদে বসতি স্থাপন হলে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সোলার প্যানেল যথেষ্ট নয়। তাই তারা পারমাণবিক শক্তির কথা ভেবেছেন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি মানুষের স্পর্শ ছাড়াই স্থাপন করতে হবে বলে পরিকল্পনা চলছে। শুধু তাই নয়, পারমাণবিক শক্তিতে চালিত একটি মালবাহী মহাকাশযান তৈরির পরিকল্পনাও করছে রাশিয়া।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, এক নতুন পদ্ধতির পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া। সেই অস্ত্র স্যাটেলাইট ধ্বংস করার কাজে ব্যবহার করা হবে।
বরিসভ স্পষ্ট জানিয়েছেন, চাঁদের মাটিতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।
চীন ও রাশিয়া ২০২১ সালের জুনে একটি চুক্তি করে। সেখানে ঠিক হয়, দুই দেশ একে অপরকে মহাকাশ গবেষণায় সহায়তা করবে এবং যৌথ প্রকল্পে অংশ নেবে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন নিয়ে পরিকল্পনা করছে। এ জন্য ২০২৬ সালের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।
সাধারণত সৌরবিদ্যুতের সাহায্য চাঁদে গবেষণার কাজ হয়। কিন্তু ১৪ দিন সেখানে চন্দ্ররাত থাকে। সে সময় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। নিজেদের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সেই সমস্যার সমাধান করবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।